Milk Feeding | Breasfeeding

milk-feeding

Milk feeding 

আমরা যখন আমাদের ছোট শিশু এবং বাচ্চাদের খাবারের গুণাগুন ও পুষ্টির গুরুত্ব নিয়ে কথা বলি,তখন শিশু এবং বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় দুধের বিষয়টা আমাদের বেশিরভাগের মধ্যেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। আর এটা জানা আসলেই সহজ বিষয় নয়। এই ব্লগে,ছোট শিশু এবং বাচ্চাদের বয়সভেদে কি পরিমান milk feeding ও কোন ধরণের দুধ খাওয়ানো উচিত তা ব্যাখ্যা করব।

০-৬ মাস বয়সে

মায়ের দুধ

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (WHO) এর পরামর্শ হ’ল, নতুন জন্ম নেওয়া শিশুদের জীবনের প্রথম ৬ মাস সম্পূর্ণরূপে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তারপরে, পরিপূরক পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ২ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ চালিয়ে যাওয়া উচিত অথবা বাচ্চা যতদিন মায়ের দুধ খেতে চায়। কারণ এতে মা এবং শিশুর উভয়েরই অনেকগুলি সুবিধা রয়েছে- যেমন এটি বাচ্চাকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে।

ফর্মুলা দুধ

breast-feeding-milk

যদি শিশুটি পর্যাপ্ত বুকের দুধ না পায় বা কোন কারণে মা শিশুটিকে বুকের দুধ দিতে না পারে, তবে শিশুটির প্রথম ৬ (ছয়) মাস বয়স পর্যন্ত পুষ্টির একমাত্র উপযুক্ত বিকল্প উৎস হওয়া উচিত ফর্মুলা দুধ অর্থাৎ ছানা ছাড়া দুধ।

এনএইচএস (NHS) এর নির্দেশিকা অনুসারে, শিশুর প্রথম ১ (এক) বছর বয়স পর্যন্ত প্রধান পানীয় হওয়া উচিত মায়ের দুধ বা ফর্মুলা দুধ। গরুর দুধ এবং অন্যান্য বিকল্পগুলি ১ (এক) বছর বয়সের পূর্বে প্রধান পানীয় হিসাবে খাওয়ানো উচিত নয়।

৬-১২ মাস বয়সে

প্রায় ৬ মাস বয়সের সময় শিশুর খাবারে আরও অন্যান্য খাবার যোগ করতে হবে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই শিশুর দুধের চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।

শিশুটিকে যদি বুকের দুধ খাওয়ানো হয়,তবে বাচ্চাটি স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য খাবার গ্রহনের মাত্রাটি আত্বস্থ করে ফেলে এবং সে প্রয়োজন অনুসারে খাদ্য গ্রহন করে। ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো বাচ্চাদের জন্য, এনএইচএস (NHS) এর নির্দেশিকা অনুসারে, শিশুর প্রতিদিন ৭ – ৯ মাসের মধ্যে প্রায় ৬০০ মিলি ফর্মুলা দুধ প্রয়োজন হতে পারে এবং এটি ১০ – ১২ মাসের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিতে নেমে আসবে। তবে, মনে রাখবেন এটি কেবল একটি গাইড লাইন।

এ সময়ে গরুর দুধ বা অন্যান্য বিকল্পগুলি শুরু করতে পারেন, তবে এটি মায়ের দুধ বা ফর্মুলা দুধের পরিবর্তে প্রধান পানীয় হিসাবে খাওয়ানো উচিত নয়।

১২-২৪ মাস বয়সে

breasfeeding

এক বছর বয়স থেকে, শিশু বেশী পরিমানে নিয়মিত খাবার খাওয়া শুরু করবে এবং তার বেশিরভাগ পুষ্টি দুধ ব্যতীত অন্য খাবার থেকে আসবে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (WHO) এর পরামর্শ হ’ল বাচ্চাদের দুই বছর বা তার বাইরেও বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত, আর বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়ার কারণে বুকের দুধের প্রয়োজন কমে যাবে ধীরে ধীরে।

 ০১-০৩ বছর বয়সের মধ্যে, বাচ্চার প্রতিদিন প্রায় ৩৫০-৪০০ মিলিলিটার দুধ বা ৩ বার দুগ্ধজাতীয় খাবার পরিবেশন করতে হবে। তবে, যদি আপনার শিশুটি সারা দিন খাবারে প্রচুর দুগ্ধজাতীয় খাবার গ্রহণ করে তবে তাকে কম দুধ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার দিন এবং কমেন্ট করুন।

Pharmacist. Nahid Chowdhury
B.Pharm (Bachelor In Pharmacy)

Follow Fashion Food Health-
Facebook Group Link: https://www.facebook.com/groups/fashionfoodhealth
Facebook Page Link: https://www.facebook.com/fashionfoodhealth
Instagram Link: https://www.instagram.com/fashionfoodhealth
Twitter Link: https://twitter.com/FashionFoodHeal
LinkedIn Link: https://www.linkedin.com/company/fashionfood-health

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here